সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফে ১৩ ঘন্টা পর নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার টেকনাফে বস্তাবন্দি শিশু হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার ২ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কক্সবাজারে শহীদদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও অনুদান প্রদান করেছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ কুতুবদিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস পালিত টেকনাফে নিখোঁজ মেয়ে শিশুর বস্তিাবন্দি মরদেহ উদ্ধার ৩৫ হাজার ইয়াবা সহ পুলিশ কনস্টেবল সহ আটক ২ সেনা কর্মকর্তারা ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতাপ্রাপ্ত : মব জাষ্টিস নিন্দনীয় ৪৮ মামলার আসামী জিয়াবুলের আস্তানায় যৌথ বাহিনীর অভিযান : অস্ত্র উদ্ধার টেকনাফে ৩১ দখলদারের থাবায় ১৪ বছরে নিশ্চিহ্ন ৩০০ বছরের পুরোনো বৌদ্ধ বিহার আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কার পেল সায়মন বিচ রিসোর্ট ও সায়মন হেরিটেজ

মিয়ানমারে জেড খনিতে ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ১৬১

বিডি নিউজ : মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে জেড পাথরের খনিতে ভূমিধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬১ জন হয়েছে।

দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলে শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মত উদ্ধার অভিযান চলছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কাচিন রাজ্যের জেড পাথর সমৃদ্ধ হপাকান্ত এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোরে ভূমিধসের ওই ঘটনা ঘটে।

ওপেন পিট পদ্ধতিতে খোড়া এসব খনিতে রত্নপাথর খোঁজার সময় মাটি, কাদা ও খনি বর্জ্য সরিয়ে স্তূপ করে রাখা হয়, যাকে বলে টেইলিং।

ভারি বর্ষণের মধ্যে শ্রমিকরা পাথর সংগ্রহ করার সময় আড়াইশ ফুট উঁচু বিশাল এক কাদার স্তূপ ধসে পড়ে। ফলে খনিতে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে জল-কাদার বিশাল ঢেউ সৃষ্টি হয় এবং বহু শ্রমিক তার নিচে চাপা পড়েন।

মিয়ানমারের তথ্য দপ্তরের স্থানীয় কর্মকর্তা থার লিন মং শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের জানান, তখন পর্যন্ত ১৬১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, ৪৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। 

তিনি বলেছেন, নিহতদের অর্ধেকের লাশই শনাক্ত করা যায়নি। তাদের অনেকেই অন্য এলাকা থেকে আসা শ্রমিক। খনির পাশেই তাঁবুতে তারা থাকতেন।

থার লিন মংয়ের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রায় ৮০ হাজার ডলার সহায়তা দেওয়া হবে। স্থানীয় প্রশাসন, মিয়ানমারের জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন এবং একটি মাইনিং কোম্পানির উদ্যোগে এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।   

বিশ্বে সবুজ রংয়ের প্রায়-স্বচ্ছ রত্ন পাথর জেডের সবচেয়ে বড় উৎস মিয়ানমার। সেখানে উত্তোলিত জেড পাথরের বেশিরভাগটাই প্রতিবেশী দেশ চীনে রপ্তানি হয়। 

দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন প্রদেশ আর হপাকান্ত জেডের খনির জন্য বিখ্যাত। কিন্তু সরকারের কার্যকর তদারকি না থাকায় সেখানে প্রায়ই প্রাণঘাতী ভূমিধস ও বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটে।

মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময় মিয়ানমারে বর্ষা মৌসুম চলে। এ সময়ে হপাকান্তের সব খনিতে কাজ বন্ধ রাখার কথা থাকলেও বাস্তবে তা হয় না।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে বহু লোকের মৃত্যু হয়েছে, যারা স্বাধীন রত্ন সন্ধানী। বড় খনিগুলো অনুসন্ধান চালানোর পর পড়ে থাকা অবশিষ্টাংশের মধ্যে রত্ন খোঁজেন তারা। 

এর আগে একই ধরনের ঘটনায় ২০১৫ সালে শতাধিক এবং ২০১৯ সালে অর্ধশতাধিক খনি শ্রমিকের মৃত্যু হয় হপাকান্ত এলাকায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888