শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন

ক্যাম্প থেকে পালানোর সময় আরও ৫৮ রোহিঙ্গা আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালানোর সময় কক্সবাজারের লিংরোড এলাকা থেকে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালিয়ে ৫৮জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পুলিশ।পরে তাদের যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত টেকনাফ-কক্সবাজার আঞ্চলিক সড়কের কক্সবাজার লিংরোড এলাকায় অস্থায়ী তল্লাশিচৌকি বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহন থেকে তাদের আটক করা হয়।এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কর্মকতা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন আহম্মেদ।

তিনি বলেন,কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলামের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) একটি দল আমার নেতৃত্বে কক্সবাজার সদরের লিংরোড সড়কে টেকনাফ- কক্সবাজার মুখি প্রতিটি গাড়ি তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে আশ্রয়শিবির থেকে বাহির হয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৫৮জন রোহিঙ্গা আটক করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়,শরনার্থী রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে নিরাপত্তা বেষ্টনী ফাঁকি দিয়ে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়শিবির থেকে কৌশলে পালিয়ে যাচ্ছেন রোহিঙ্গারা।এভাবে পালাতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ধরা পড়ছে তাঁরা। কাজের সন্ধানে তারা আশ্রয়মিবির থেকে বের হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে।পাশাপাশি প্রায় অশান্ত হয়ে উঠেছে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরগুলো।আশ্রয়শিবিরে মাদক বিক্রি এবং মাদকের টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়েও ঘটেছে অনেক মারামারি-খুনাখুনি হয়।

ডিবি পুলিশ জানায়,আটক করা রোহিঙ্গারা বিভিন্ন কাজের সন্ধানে বের হয়েছিল।কাঁটাতারের বেড়া ও আশ্রয়শিবিরে অভ্যন্তরে এবং সড়কের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তত ১০টি তল্লাশি চৌকির নিরাপত্তা কমীদের ফাঁকি দিয়ে কিভাবে রোহিঙ্গারা দেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে, এবিষয়ে কঠোর নজরদারী করা হচ্ছে।পরে আটক রোহিঙ্গাদের উখিয়া থানার মাধ্যমে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, আটক রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কাজের সন্ধানে বের হচ্ছে। রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে বের হওয়ার নিয়ম নেই। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার জন্য আশ্রয়শিবিরগুলোর ভেতরে বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তত ১০টি তল্লাশিচৌকি স্থাপন করা হয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, যারা বিনা অনুমতিতে আশ্রয়শিবির থেকে বাইরে যাচ্ছে, তাদের বিভিন্নভাবে বোঝানো হচ্ছে। কাউন্সেলিং ও এ দেশের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে তাদের ধারণা দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে একই রকম অপরাধে ধরা পড়লে তাদের জেল-জরিমানার ভয় দেখানো হচ্ছে। আটক ব্যক্তিদের ট্রানজিট ক্যাম্পের মাধ্যমে বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888