শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফ অপহরণকারি চক্রের কবল থেকে ১১ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে ১৬ এপিবিএন। এসময় অপহরণকারি চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
টানা ২ দিনের অভিযানে অপহৃতদের উদ্ধার ও অপহরণকারিদের আটক করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন নয়াপাড়ার রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের ১৬ এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক রাজু আহমদ।
তিনি জানান, টানা ২ দিনের অভিযানের বুধবার দিবাগত রাত ১২ টায় অপহরণকারি চক্রের ৪ সদস্যকে আটকের পর বৃহস্পতিবার ভোরে টেকনাফের মহেশখালীয়া পাড়া এলাকা থেকে অপহৃতদের উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে পৃথকভাবে অপহরণ করা হয়।
আটকদের মধ্যে ৩ জন রোহিঙ্গা ও একজন স্থানীয় বাংলাদেশী রয়েছেন। এরা হলেন, উখিয়ার বালুখালীর জামতলীস্থ ১৫ নম্বর ক্যাম্পের মৃত লোকমান হাকিমের ছেলে আব্দুর রশিদ (৩৬), টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদার বিল এলাকার দিল মোহাম্মদের পুত্র রবিউল আলম (২০), উখিয়ার কুতুপালং বালুমাঠ ক্যাম্পের মো. রশিদের ছেলে আইয়ুব (২৬) ও উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা ক্যাম্পের মৃত আবদুল শামার ছেলে আমির হোসেন (৩৪)।
উদ্ধার হওয়া অপহৃতরা হলেন, টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিষ্ট্রার্ড ক্যাম্পের বদি আলমের ছেলে মো. ফারুক (১৪), একই ক্যাম্পের সৈয়দ আলমের ছেলে মো. আলম (১৪), কুতুপালং ক্যাম্পের সুলতান আহমেদের ছেলে একরামুল হাসান (১৭), একই ক্যাম্পের হোসেন আহমেদের ছেলে তৈমর (১৮), বালুখালী ক্যাম্পের মৃত আবদুল হকের ছেলে মো. রফিক (২৩), একই ক্যাম্পের মো. নুরের ছেলে মোঃ জালাল (১৮), একই ক্যাম্পের মৃত আনোয়ারের ছেলে মোজাম্মেল (২০), একই ক্যাম্পের হাবিবুল্লাহর ছেলে মো. সাদেক (১২), একই ক্যাম্পের গুরা মিয়ার ছেলে মো. জুবায়ের (১৫), একই ক্যাম্পের নুর মোহাম্মদের ছেলে নুর কামাল (২৪) ও একই ক্যাম্পের আবদুল হকের মেয়ে ফাতেমা (১৪)।
টেকনাফের নয়াপাড়ার রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের ১৬ এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক রাজু আহমদ জানান, অপহরণকারী চক্র দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প হতে কৌশলে অপহরণ করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অপহরণের এমন তথ্য নিয়ে অভিযান চালানো হয়। এব্যাপারে মামলা করে আটক ৪ জনকে টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। উদ্ধার করা রোহিঙ্গাদের স্ব স্ব রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইনচার্জের মাধ্যমে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি মোঃ আব্দুল হালিম বলেন, মামলার করার পর আটক আসামিদের দুপুরে দিকে কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply