শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন

ছাত্রলীগ নেতা ইমনকে খুন করতে দু’মাস আগে সংগ্রহ করে ছুরি আর চাপাতি’

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারে ছাত্রলীগ নেতা ইমন হাসানকে খুন করতে দু’মাস আগে সংগ্রহ করা হয় ছুরি আর চাপাতি। দোকানে বসে পরিকল্পনা মাধ্যমে মোটর সাইকেল গতিরোধ করে কথা বলতে বলতে ইমনকে একজন পেছন দিক থেকে কোপ দেয় আর আব্দুল্লাহ পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। আর ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে করে কুপিয়ে এবং ছুরিকাঘাত করে মোটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে আব্দুল্লাহ খান ও তার সহযোগীরা। মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে টেকনাফের কচুবনিয়া থেকে হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী আব্দুল্লাহ খানকে গ্রেফতারের পর এমন তথ্য জানায় র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, বাবার মোটরসাইকেল নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা ইমন ঘুরতে যান পেশকারপাড়ার বাঁকখালী নদীর তীরে। বৃহস্পতিবার রাতে মোটরসাইকেল গতিরোধ করে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এসময় ইমন মাটিতে ঢলে পড়লে মোটরসাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যান তারা। গুরুতর আহত ইমনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক অবস্থার অবনতি দেখে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে ইমনের মৃত্যু হয়।

এরপর থেকে আত্মগোপনে চলে যায় ইমন হত্যার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। কিন্তু হত্যাকান্ডের পর থেকে জড়িতদের গ্রেফতারে তৎপরতা শুরু করে র‌্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইমন হত্যার প্রধান আসামি আব্দুল্লাহ খানকে রোববার ভোরে টেকনাফে কচুবনিয়া থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে বিকেলে প্রেস ব্রিফিয়ে র‌্যাব জানায়, পূর্ব শক্রতার জের এ হত্যাকান্ড। আর ইমনকে হত্যার জন্য দু’মাস আগে সংগ্রহ করা হয় ছুরি আর চাপাতি।

র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক নিত্যানন্দ দাশ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী আব্দুল্লাহ খান ইমন হত্যাকান্ডে তার জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সে এই হত্যাকান্ডটি সংঘটিত করে। সে জানায়, কক্সবাজার শহরে ভিকটিম ইমন হাসান মওলার পিতার একটি দোকান রয়েছে। গত কয়েক মাস আগে সেই দোকানে ইমনের পিতার সাথে আব্দুল্লাহ খান ও তার সহযোগীদের বাগবিতন্ডা হয়েছিল। এই বাগবিতন্ডার জের ধরে ভিকটিম ইমন ও তার সহযোগীদের সাথে আব্দুল্লাহ খান ও তার সহযোগীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এই মারামারির ঘটনার প্রেক্ষিতে আব্দুল্লাহ খান এর পরিবার ইমন ও তার সহযোগীদের নামে মামলা করে। উল্লেখিত মারামারির ঘটনার প্রতিশোধ নিতে আব্দুল্লাহ খান সুযোগ খুঁজতে থাকে এবং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২১ জুলাই রাতে সে উক্ত হত্যাকান্ড সংঘটিত করে।

নিত্যানন্দ দাশ বলেন, ইমন হত্যাকান্ডে আব্দুল্লাহ খান এবং তার সহযোগীরা ০১ টি চাপাতি ও ০১ টি ছুরি ব্যবহার করে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি এবং চাপাতিটি ইমনকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গত ০২-০৩ মাস পূর্বে আব্দুল্লাহ খান ও তার অন্য এক সহযোগী তাদের নিজ হেফাজতে সংগ্রহ করে রেখেছিল।

র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক নিত্যানন্দ দাশ আরও বলেন, দোকানে বসে পরিকল্পনার পর ইমনকে ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে কুপিয়ে এবং ছুরিকাঘাত করে ইমনের মোটর সাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যায় আব্দুল্লাহ খান ও তার সহযোগীরা। অভিযানে ইমনের সেই মোটর সাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়েছে। আব্দুল্লাহ খানকে সংশ্লিষ্ট মামলায় কক্সবাজার সদর থানায় সোপর্দ করা হবে। আর বাকি আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানায় র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888