শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০১ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক : ঈদের প্রথম দুইটি দিন কক্সবাজারে পর্যটকের মন্দায় অনেকটা মন খারাপ করেছিলেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। তবে শুক্রবার সেই মন্দা কেটে গেছে। পর্যটকের উচ্ছ্বাসে মুখরিত হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত সহ পর্যটন স্পটগুলো।
পর্যটন সংশ্লিষ্টদের দেয়া তথ্য মতে, ঈদের দিন থেকে প্রথম ৪ দিনে কক্সবাজারে পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন আড়াই লাখের মতো। আর শুধু মাত্র শুক্রবার সেই পর্যটকের সংখ্যা ছুঁয়েছে লাখের কাছা-কাছি।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার জানান, শুক্রবার কাংখিত সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন। কক্সবাজারের ৫ শতাধিক আবাসিক প্রতিষ্ঠানের ৯০ শতাংশ কক্ষ ভাড়া হয়েছে।
তিনি জানান, ঈদের প্রথম ২ দিন পর্যটকের উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। তৃতীয় দিন থেকে তা বাড়তে থাকে। শুক্রবার সর্বোচ্চ সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন।
শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ভিড় ছিল লক্ষ্যনীয়। সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার জুড়ে ছিল মানুষ আর মানুষ। যারা সৈকতের বালিয়াড়ি আর নোনাজলে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ছিলেন। যেখানে সৈকতে এসে কেউ উঠছেন ঘোড়ার পিঠে, তুলছেন ছবি। কেউবা বিচ বাইকে করে ঘুরছেন সৈকতে লাবনী থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম থেকে আসা পর্যটক আশরাফ আলী জানান, বর্ষা মৌসুম হলেও কক্সবাজারে দেখা নেই বৃষ্টির। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে উত্তাল সাগর। যা সত্যি মুগ্ধকর। পরিবার সহ ঈদের ভ্রমণে অন্যভাবে উপভোগ করছেন তিনি।
ঢাকার দম্পতি তাহমিন খানম ও রফিকুল হুদা জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই তারা কক্সবাজার এসেছেন। এসে হোটেল কক্ষ পেতে একটু ভোগান্তি পোহাতে হলেও সকাল থেকে সৈকত ভ্রমণে তা কেটে গেছে।
কক্সবাজারের ইনানী, হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বিকেলে লাবণী পয়েন্টে দেখা মিলে দিনাজপুরের একদল তরুণের সাথে। যারা পাহাড়-সাগরের কক্সবাজারকে ভিন্ন এক উচ্ছ্বাসের নগরী বলে মন্তব্য করেছেন।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, ঈদের ৫ দিনে কক্সবাজারে সাড়ে ৩ লাখ পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন। যার মধ্যে শুক্রবার ছিল লাখের কাছা-কাছি। এসব পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে স্নান নিরাপদ করতে কাজ করছেন লাইফগার্ড কর্মীরা।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী জানান, ঈদের ৫ দিনে পর্যটন খাতে ৫২৫ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। দীর্ঘ মন্দার পর ব্যবসায়ীরা কিছুটা স্বস্তিবোধ করছে। আগামি ২ দিন পর্যটকের উপস্থিতি থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply