শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১০ অপরাহ্ন

মাদ্রাসার শিক্ষকদের সভাপতি হিসেবে পছন্দ এডিসি; এমপির সুপারিশে মনোনয়ন পেলেন জামায়াতের সাবেক আমীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : উখিয়ার একটি মাদ্রাসার শিক্ষক এবং পরিচালনা কমিটির ১২ সদস্য মিলে সভাপতি হিসেবে নাম প্রস্তাব পাঠানো হয় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইটির নাম। কিন্তু সরকারদলীয় সদস্য সংসদের সুপারিশে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেছেন উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর এবং প্রতিষ্ঠানটি সদ্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে। যার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির ২ কোটি ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

উখিয়া উপজেলার রাজাপালং এমদাদুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে সাবেক অধ্যক্ষ আবুল হাসান আলীকে এই নিয়োগ প্রদানকে অবৈধভাবে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষক-কর্মচারীরা।

রোববার সকালে কক্সবাজার শহরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অবৈধভাবে স্মারক জালিয়াতি করে উখিয়া উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর এবং রুকন সদস্য আবুল হাসান আলী সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি।

লিখিত বক্তব্য প্রদান কালে প্রতিষ্ঠানটির সহকারি অধ্যাপক মুহিব উল্লাহ জানান, নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি সভাপতি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইটিকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু ওই আবেদনের স্মারকমুলে দেয়া হয় সাবেক অধ্যক্ষ ও জামায়াত নেতাকে। এ মনোনয়ন অবৈধ বলে বাতিলের দাবি জানানো হয়।

তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটি অধ্যক্ষ থাকাকালিন আবুল হাসান আলী নানা অনিয়ম এবং অর্থ আত্মসাতে জড়িত ছিলেন। শুরুমাত্র তার দায়িত্ব পালনের শেষ ৯ বছরে ২ কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে। তাই অবসরেণ যাওয়ার পর পর আবারো জালিয়াতি করে সভাপতি হওয়ার মিশন নিয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটি ২৭ জন শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে ২৩ জন উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবদুল হক, সহকারি অধ্যাপক মোহাম্মদ হাশেম, মো. মাহমুদুল হক, সহকারি শিক্ষক মোস্তাক আহমদ প্রমুখ।

এব্যাপারে সাবেক অধ্যক্ষ ও নব মনোনীত সভাপতি আবুল হাসান আলী জানান, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তার মনোনয়ন অবৈধ বলার কোন সুযোগ নেই। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে সভাপতি হিসেবে প্রস্তাব দিয়ে যার নাম পাঠানো হয়েছে তার বাইরে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় অন্য কোন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিতে পারেন। ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় তা করেছে। এতে তার করার কিছু নেই। মুলত উখিয়া-টেকনাফের ক্ষমতাসানি সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শাহিন আকতার এর দেয়া সুপারিশ পত্রের আলোকে তাকে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হয়। এখন তাকে জামায়াত নেতা হিসেবে প্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি বর্তমানে জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত নন দাবী করেন।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবদুল হক সক্রিয় জামায়াত নেতা উল্লেখ করে বলেন আবুল হক সাঈদী মুক্তির দাবিতে নাশকতা মামলার আসামী।

তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা প্রমাণ করতে পারলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888