শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২২ অপরাহ্ন

ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের হাতে খুন হয় কিশোর চালক ওয়াজেদ : আটক ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ছিনতাই করতে রোহিঙ্গা সদস্য নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্র তৎপর রয়েছে। যে চক্রটি কৌশলে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে ইজিবাইক ছিনতাই করে থাকে। এই চক্রটি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়া থেকে মরিচ্যা যাওয়ার নামে ইজিবাইক ভাড়া করে মাঝ পথে হত্যা করে ছিলো মোহাম্মদ ওয়াজেদ (১৩) নামের এক কিশোরকে।

সোমবার দিবাগত মধ্যরাতের অভিযানে হত্যায় জড়িত ৪ জনকে আটকের পর এমন তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব-১৫। মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানিয়েছে, হত্যার পর চক্রের সদস্যরা ইজিবাইক, টাকা ও মোবাইল ফোন কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জমা রেখে আত্মগোপন করেছিলো। যাদের কয়েক দফায় অভিযানে কক্সবাজারের সমিতিপাড়াস্থ নাজিরারটেক এলাকা থেকে আটক করেছিলে র‌্যাব।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের মরিচ্যা বিজিবির চেকপোস্টের উত্তরে একটি বিল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল মোহাম্মদ ওয়াজেদ (১৩) নামের এক কিশোরের মৃতদেহ। ওয়াজেদ কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক এলাকা মো. জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র।

এ ঘটনায় আটকরা হলেন, চকরিয়া উপজেলার চরণদ্বীপ এলাকার আক্তার হোসেনের পুত্র নুরুল ইসলাম (২০), চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আবুল কাসেমের পুত্র মো. আরিফ হোসেন (৩৬), কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আমির হামজার পুত্র মো. হোসেন (৩১) ও মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়ার আলী আহমদের পুত্র আবু হেনা হানিফ (৩৩)।

মঙ্গলবার দুপরে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল খাইরুল ইসলাম সরকার জানান, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে মোহাম্মদ ওয়াজেদ (১৩) নামের এক কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধারের পর পিতা মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে একটি মামলা তাদের করে ছিলেন। এরপর থেকে র‌্যাব বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে র‌্যাব সদস্যরা দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে হত্যা এবং ইজিবাইক ছিনতাইয়ে জড়িত ৪ জনকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।

তিনি জানান, মুলত মোহাম্মদ ওয়াজেদ একজন ইজিবাইক চালক। যার সাথে নুরুল ইসলামের বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক গড়ে উঠে। এর জের ধরে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে নুরুল ইসলাম ও আবু হেনা হানিফ মারিচ্যা যাওয়ার নামে মোহাম্মদ ওয়াজেদ এর ইজিবাইক নিয়ে যাত্রা দেয়। রাত ১১ টার আগে মরিচ্যা বিজিবির চেকপোস্টের উত্তরে ইজিবাইক দাঁড় করিয়ে ইচিবাইক ছিনতাইয়ের জন্য চেষ্টা করে। এতে মোহাম্মদ ওয়াজেদ প্রতিবাদ করলে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে মৃতদেহ ফেলে দেয়। এরপর ইজিবাইক, মোবাইল ফোন, টাকা নিয়ে ২ জন কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলে যায়। ওখানে মো. আরিফ হোসেন ও রোহিঙ্গা মো. হোসেনের নিকট জমা দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় ২ জন।

র‌্যাব জানিয়েছে, চক্রটিতে আরো অন্যান্যও জড়িত থাকতে পারে। আটকদের রামু থানায় সোপর্দ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888