শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৩ অপরাহ্ন

থাইল্যান্ডে পালাতে প্রস্তুত মিয়ানমারের কয়েক হাজার গ্রামবাসী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহী কারেন গোষ্ঠীর মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সীমান্তবর্তী কয়েক হাজার গ্রামবাসী পালিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে।

১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সামরিক জান্তা মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের পর কারেনদের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাত শুরু হলে অনেকেই প্রতিবেশী দেশটিতে আশ্রয় নেয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, পরিস্থিতির অবনতি হলে এই কারেন আদিবাসীরাও সেখানে তাদের সঙ্গে যোগ দেবে।

মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী থাইল্যান্ডের মায়ে হং সন প্রদেশের ইয়ে থু হতা উদ্বাস্তু শিবিরে আশ্রয় নেওয়া কারেন গ্রামের এক বাসিন্দা চু ওয়াহ রয়টার্সকে বলেন, “মানুষ বলাবলি করছে, বর্মীরা গ্রামে এসে আমাদের গুলি করে মারবে, তাই আমরা পালিয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছি।”

মিয়ানমার-থাইল্যান্ডের সীমানা বরাবর সালভিন নদী পার হয়ে চলতি সপ্তাহে পরিবারসহ থাই ভূখণ্ডে প্রবেশ করে শিবিরে আশ্রয় নেন বলে জানান চু ওয়াহ।

মিয়ানমারের কারেন পিস সাপোর্টারস নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, কয়েক হাজার গ্রামবাসী সালভিন নদীর মিয়ানমারের তীরে আশ্রয় নিয়েছে এবং দুপক্ষের লড়াই যদি আরও রক্তক্ষয়ী রূপ নেয় তাহলে তারা পালিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেবে।

এই গোষ্ঠীর ফেইসবুক পেজে বলা হয়, “আসন্ন দিনগুলোতে, সালভিন নদীর তীরে অবস্থানরত আট হাজারের বেশি কারেন আদিবাসীকে সীমান্ত পার হয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিতে হতে পারে। আমরা আশা করছি, যুদ্ধ থেকে প্রাণ বাঁচাতে তাদের সাহায্য করবে থাই সেনারা।”

গত মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের আগে পরিচালিত এক হামলায় সালভিন নদীর পশ্চিম তীরে মিয়ানমারের একটি সেনা ইউনিটকে গুঁড়িয়ে দেয় কারেন বিদ্রোহীরা।

তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সংঘাতে ১৩ সেনা ও তিনজন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। এর জবাবে থাই সীমান্ত এলাকায় বিমান হামলা চালায় মিয়ানমার সামরিক বাহিনী।

থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ সপ্তাতে প্রায় ২০০ গ্রামবাসী সীমান্ত অতিক্রম করে তাদের ভূখণ্ডে আশ্রয় নিয়েছে। থাইল্যান্ড সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে এবং সীমান্ত অতিক্রমে কড়াকড়ি আরোপ করেছে।

নিরাপত্তার খাতিরে কয়েকশ থাই গ্রামবাসীও সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকা ছেড়ে ঘরবাড়ি নিয়ে দেশের ভেতরের দিকে সরে গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888