শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন

‘ভার্চুয়াল’ হাজিরায় জজ আদালতও চালু রাখার নির্দেশ

বিডিনিউজ : করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে শুধু জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি আবেদন নিষ্পত্তি করতে এবার বিভাগীয় বিশেষ জজ বা বিশেষ জজ আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রধান বিচারপতির আদেশে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগ থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা আসে।

এতে বলা হয়, বিভাগীয় বিশেষ জজ/বিশেষ জজ সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২২০’ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে ‘শুধু জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। 

রোববার থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে, যা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিস্তার ঠেকাতে সরকার প্রথম দফায় গত ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে শপিং মল, দোকান-পাট, হোটেল-রেস্তারাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

ওইদিন রাতেই সীমিত পরিসরে দেশের আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত আসে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছ থেকে।

বিচার বিভাগ প্রধানের আদেশে এ সংক্রান্ত আলাদা তিনটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

এসব বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬ এপ্রিল থেকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে শুধু আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত, হাই কোর্টের চারটি বেঞ্চ চালু থাকবে।

আর মুখ্য বিচারকি হাকিম বা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত সীমিত পরিসরে চালু থাকবে, তবে সব অধস্তন আদালত বা ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

এরপর গত ১৩ এপ্রিল আরেক বিজ্ঞপ্তিতে ভার্চুয়ালি সীমিত পরিসরে আপিল বিভাগের বিচারকাজ পরিচালনার কথা জানানো হয়।

এদিকে গত ১২ এপ্রিল থেকে বিশেষ জজ আদালত বাদে দেশের সব অধঃস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে জামিন আবেদন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্ত শুনানি ভার্চুয়ালি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাই কোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেছেন, “গতকাল (বুধবার) পর‌্যন্ত সাত কার‌্যদিবসে ২৩ হাজার ৭৮৪ টি মামলায় ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে মোট ১৩ হাজার ৬০৭ জন হাজতি ব্যক্তি জামিনপ্রাপ্ত হয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন।”

এ অবস্থায় বিভাগীয় বিশেষ জজ বা বিশেষ জজ আদালতের বিচারকাজও ভার্চুয়ালি পরিচালনার এ নির্দেশনা এল।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888