শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০১ অপরাহ্ন

বীরাঙ্গনাদের অন্তহীন যুদ্ধ

বিডিনিউজ : ঊনিশশো একাত্তর সালে পাকিস্তানিরা দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বাঙালিকে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বাধ্য করেছিল। সেই ‘ময়দানি লড়াই’ শেষ হয়েছে নয় মাসেই। কিন্তু পাকিস্তানিরা যাদের জীবনে নির্যাতনের অমোচনীয় বিভীষিকা লেপে দিয়েছে, সেই সব বীর নারী মুক্তিযোদ্ধাদের সংগ্রাম এখনও শেষ হয়নি।

মানসিক যন্ত্রণার সঙ্গে পরিবার-সমাজের অবহেলা, গ্লানি, দারিদ্র্য- সব মিলে তাদের লড়াইটা আরও কঠিন। ঢাকার শেখ ফাতেমা আলী, আমেনা বেগম, বরগুনার সেতারা বেগমের সংগ্রামের পথ দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের।

এই বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানিয়েছেন, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তারা চান, রাষ্ট্রীয় সহায়তায় মাথার গোঁজার ঠাঁই।

আমেনা বেগম

সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের জয়নাবাড়িতে তিন ছেলে ও নাতি-নাতনি নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন আমেনা বেগম।

১৯৭১ সালে পরিবারের সঙ্গে ঢাকার বাবুপুরা বস্তিতে থাকতেন তিনি। তখন অষ্টম শ্রেণি পেরোনো আমেনার বয়স আঠারো ছুঁই ছুঁই।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “তখন যুদ্ধ শুরু হইছে। মানুষের চিল্লাচিল্লির অনেক আওয়াজ হইতেছে একদিন। মা আমারে বলছে চৌকির তলায় শুয়ে থাকতে। তো আমি চৌকির তলায় শুয়ে, কিন্তু সবাই কখন বাইর হইয়া গেছে বলতে পারি না। যখন সকাল ১০টা-১১টা বাজে, তখন আমার ঘুম ভাঙছে। দেখি বস্তি পুরা খালি। এদিক যাই, ওদিক যাই, দৌড়াদৌড়ি করি, কোনো মানুষ নাই। আমার একটা কুকুর আছিল। সেইটা আমার কামিজ ধইরা টাইনা নিয়া যাইতেছিল।”

কিছু পথ হেঁটে আমেনা দেখেন অসংখ্য মানুষ জিনজিরার দিকে পাড়ি জমাচ্ছে।

“সন্ধ্যা হয়ে গেছে তখন। ঘাট পার যখন হইছি, তখন এক বৃদ্ধ লোক আইসা কইল; আমার তো মেয়ে নাই, তুই যদি আমারে বিশ্বাস করস, তাহলে আমার লগে আয়।”

এই বৃদ্ধের তিন ছেলে মুক্তিযুদ্ধের জন্য তখন প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। তিনি আমেনাকে নিয়ে যান জিনজিরায় এক বাড়িতে। সে খবর জানাজানি হলে জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়েন আমেনা।

“আমাকে ওইখান থেইকা আর্মিরা উঠায়া নিয়া যায়, বিভিন্ন ক্যাম্পে রাখছে। সবশেষ রাখছে যশোরের শার্শা ক্যাম্পে।”

দুঃসহ সেই স্মৃতি মনে করে কান্নায় গলা বুজে আসে আমেনা বেগমের।

“আমাদের ইতিহাস বলার মত না। কইতেও পারি না। ওই স্মৃতি মনে পড়লে এখনও রাইতে ঘুম নাই। আর যেইদিন এইসব মনে হয়, সেইদিন মনে হয় অজ্ঞান অবস্থায় থাকি।”

যুদ্ধের এক পর্যায়ে খবর পেয়ে গেরিলা দল হেমায়েত বাহিনী আমেনাসহ আরও অনেক নারীকে মুক্ত করে। এরপর আমেনা বেগমের দিন কাটে রণাঙ্গনে। মুক্তির লড়াইয়ে নিজেকে উজাড় করে দেন।

“যুদ্ধ শুরুর তিন-চার মাস পর আমাদের উদ্ধার করে মুক্তিবাহিনী। হেমায়েত বাহিনীর আশা লতা বৈদ্য আমাদের ট্রেনিং দিছে। রান্না-বান্না, খাওয়া, মুক্তিবাহিনীকে অস্ত্র পৌঁছে দেওয়া, পুলিশ কোনখানে আসে, কোন জায়গায় রাজাকার থাকে, এইসব দেখায় দেওয়ার কাজ করছি।”

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবার ঢাকায় ফিরে আসেন আমেনা বেগম।

“যুদ্ধের পর আমাদের শেখ মুজিবুর রহমানের বাসায় নিয়ে গেল। আমাদের সম্মান দিল। আমাগোরে কইল, আমার সন্তানদের মতই তোমরা সবাই আমার সন্তান। আমগো মেয়ের মত দেখছেন উনি। উনি থাকতে আমাগো স্বর্ণের কপাল আছিল, উনি মারা যাইয়া আমাগো কপাল পুইড়া গেছে।

“উনি আমাগো তিন হাজার করে টাকা আর একটা কাগজ দিছিল। বলছিল, তোগো কোনো অভাব দিমু না। আমার মতই রাখুম তোগো। এখন উনি নাই, আমরাও নাই। যেই সরকারই আসুক, আমরা বঙ্গবন্ধুর সন্তান হইয়াই থাকুম।”

আমেনা বেগম জানান, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আরেক দফা বিভীষিকা ভর করে তার জীবনে।

“আমরা ভয়ে কোনোদিন কই নাই যে, আমরা মহিলা মুক্তিযোদ্ধা, আমরা বীরাঙ্গনা। মুক্তিযোদ্ধারা কয় নাই যে তারা ‍মুক্তিযোদ্ধা, মাইরা ফালাইছে। আমাদের দিন অনেক কষ্টে গেছে, কারও কাছে আমরা ঠাঁই পাই নাই।”

১৯৭৩ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হলেও দশ বছর পর বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে তার স্বামী আবার বিয়ে করে ছেড়ে যান আমেনাকে। এরপর তিন ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে নতুন সংগ্রাম শুরু হয় তার।

স্মৃতি হাতড়ে কান্নাভেজা কণ্ঠে আমেনা বেগম বলেন, “মিরপুরে, গাবতলীতে জায়গায় জায়গায় ভাড়া থাকছি। এক জায়গায় তো আমরা থাকতে পারি নাই, মানুষের যন্ত্রণায়। অনেক কষ্টে জীবন কাটছে। একবেলা খাইছি, একবেলা খাইতে পারি নাই। পোলাপাইনরে একবেলা ভাত খাওয়াইলে, আরেকবেলা ফ্যান খাওয়াইছি।”

আমেনা বেগমের এখন ১০ নাতি-নাতনি। ক্ষত ভুলতে তারাই এখন সান্ত্বনা দেয় তাকে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসায় নিজেদের ভাগ্যের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে বলে জানান এই নারী মুক্তিযোদ্ধা।

“হাসিনার সরকার না আইলে আমরা এতটুকু ভাল থাকতাম না। শেখ হাসিনা আমাগো নিজের বোনের মত করছে। উনি আরও ১০ বছর থেকে গেলে, দেশের মানুষের লাভ হইব। উনি যদি আমাগো থাকার একটা ঠাঁই দিত, তাইলে আর কিছু লাগত না।”

সেতারা বেগম

ঢাকার মিরপুরের ৬ নম্বর কাঁচাবাজারের পাশে ত্রিশ বছর ধরে পিঠা বিক্রি করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সেতারা বেগম।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগে বরগুনা থেকে ঢাকায় বাবা-মার সঙ্গে বোনের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন তিনি।

“ঢাকায় আইসা দেহি যুদ্ধ শুরু হইয়া গেছে। ঘরে ঘরে আগুন দিতাছে। যে যার মত জীবন বাঁচাইতে পালাইতাছে।”

তিনি অবশ্য পালিয়েও বাঁচতে পারেননি। টঙ্গীতে পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে যান, তাকে নিয়ে যাওয়া হয় যশোরে তাদের ক্যাম্পে। কয়েক মাস নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর সেখান থেকে হেমায়েত বাহিনী তাকে উদ্ধার করে।

সেতারা বেগম বলেন, “এরপর যুদ্ধের বাকি দিনগুলো মুক্তিবাহিনীর জন্য রান্না-বান্না করছি। যুদ্ধাহতদের সেবা করছি। যুদ্ধশেষে স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার পর তারা অনেক কথা শুনাইত। তখন বুঝলাম স্বামীর সংসার করা সম্ভব না। পরে ছাড়াছাড়ি হইয়া যায়।”

এর দুই-তিন বছর পর দ্বিতীয় বিয়ে হয় সেতারা বেগমের। নব্বইয়ের দশকে স্বামীসহ আবার ঢাকায় আসেন তিনি।

“শেখ হাসিনার বিভিন্ন সভায় যাইতাম। সেখান থেইকা বীরাঙ্গনার বিষয় জানাজানি হয়। আগে তো এইসব গোপন ছিল, কারও কাছে কেউ কইত না। জানার পর এই স্বামীও দূরে দূরে থাকে।”

বীরাঙ্গনা হিসেবে ভাতা পেয়ে এলেও নিজস্ব একটি ঠিকানা এখনও হয়নি সেতারা বেগমের। দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন, এখন এক ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকেন মিরপুরে।

যুদ্ধদিনের স্মৃতি মনে করে কেঁদে ফেলেন এই নারী।

“আমার ঘরবাড়ি নাই। ঢাকায় আইছি, এই এক জায়গায় ৩০ বছরের উপরে থাকি। আমার আপন বলতে মা-বাবা, ভাই-বোন কেউ নাই। যুদ্ধের সময় সবাইরে ধইরা নিছে। ওগো আর চোখেও দেখি নাই। আমার নাই কিছু। শুনছি নেত্রী ঘর দিব। ঘর পাইলে তো থাকার একটা জায়গা হইব।”

শেখ ফাতেমা আলী

ঢাকার পাশে হেমায়েতপুরের যাদুরচরে দুই রুমের আধাপাকা বাসায় মেয়ে ও নাতি-নাতনি নিয়ে ভাড়া থাকেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফাতেমা আলী।

সামনেই খোলা জায়গায় অস্থায়ী কাপড়ের দোকান বসিয়েছেন। এছাড়া ধানমন্ডির এক বাসায় কাজ করেন তিনি।

১৯৬৯ সালে বিয়ে হওয়া ফতেমা মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার বাবা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ায় গোপালগঞ্জের মকসুদপুরে তাদের বাড়িতে পাকিস্তানী বাহিনী আক্রমণ চালায়। পুরো পরিবার পালিয়ে গেলেও খুলনার রামদেবাজারে নৌকায় ধরা পড়ে যান তারা।

“৫ মে মিলিটারি আসল, দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু ‍পায়ে গুলি লেগে যাওয়ায় পড়ে যাই। ওইখান থেকে ওরা আমারে নিয়ে যায় যশোরের শার্শায়। সেখানে ১০০ থেকে ১৫০ জন মেয়ে এনে নির্যাতন করছিল ওরা।”

ক্যাম্পে ১৫ দিন থাকার পর জুনে হেমায়েত বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের উদ্ধার করে। এর মধ্যে তার সন্তান গর্ভেই মারা যায়। পরে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন ফাতেমা আলী।

যুদ্ধদিনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “যখন সুস্থ হইলাম, চিন্তা করলাম আমরা তো মইরাই গেছি। সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদই যখন নাই, তখন বইসা থাইকা লাভ কী?  চার সপ্তাহ ট্রেনিং নিয়া যুদ্ধ করি। যশোর থাইকা ফরিদপুর, মাদারীপুরের বিভিন্ন জায়গায় আমরা যুদ্ধ করি হেমায়েত বাহিনীর হইয়া। আমাকে গোপালগঞ্জের মকসুদপুর থানার দায়িত্ব দিছিল। আমার নেতৃত্বে অনেক বাচ্চাও কাজ করত।

“আমি একটা বিস্ফোরক তৈরি করতাম। ছাই, তামাক, মরিচের গুঁড়া দিয়ে বিস্ফোরক বানায়া পোলাপানের হাতে দিতাম। ওরা বিভিন্ন জায়গায় লুকায় থাকত। মিলিটারিদের দেখলেই এইগুলা ছাইড়া দিত। তামাক আর মরিচের গ্যাসে ওরা হাঁচি, কাশি দিতে থাকত, কিছু দেখত না। তখন ওদের অস্ত্র ছিনিয়া নিয়া মুক্তিযোদ্ধারা ওদের মাইরা ফালাইত। আমাদের তো অস্ত্র ছিল না।”

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বীরাঙ্গনা হওয়ায় স্বামী মেনে নেননি ফাতেমাকে। বাবার বাড়িতেও ফিরতে পারেননি।

ফাতেমা আলী জানান, যুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু সরকার পশ্চিম আগারগাঁওয়ে বীরাঙ্গনাদের বাড়ি দিয়েছিল। সেখানে তিনি দর্জির কাজ করতেন। পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আয়ার কাজ করতেন।

“বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিছিলেন বীরাঙ্গনাদের যারা বিয়ে করবে, তাদের ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। সেই লোভে পড়ে একজন বিয়ে করল। ওই ঘরে তিন সন্তান। ওই স্বামীও আমাকে তালাক দেয় আমি বীরাঙ্গনা তাই। বঙ্গবন্ধু মারা যাওয়ার পরে আমাদের আর কোথাও ঠাঁই নাই। কয়েকবার বিএনপি সরকার আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দিল, হেমায়েতপুরে আসলাম তারপরেই।”

এরপর বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া থাকলেও কোথাও স্থায়ী হতে পারেননি ফাতেমা আলী। বেগ পেতে হয়েছে বাসা ভাড়া নিতেও। অভাবের সংসারে ফাতেমা আলী বাধ্য হয়ে এক মেয়েকে অন্যের সংসারে পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন।

কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, “ভাতের জ্বালায় মেয়েকে পালক দিয়ে দিছি। তখন আমার চাকরি-বাকরি কিছুই ছিল না। আমি খাওয়াব কী?”

মুক্তিযুদ্ধে শেখ ফাতেমা আলী যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তার জন্য যন্ত্রণায় পড়তে হয়েছে তার আরেক মেয়েকেও।

সেই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলেন ফরিদপুরের নগরকান্দায়। তার শ্বশুড় মারা যাওয়ার পর তিনি গিয়েছিলেন সেখানে। সেখানেই তাকে দেখেন ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার।

“আমারে মেয়ের জামাই আমাকে পরিচয় করায় দিল। তখন (বাচ্চু রাজাকার) আমাকে বলে, এ তো ১৯৭১ সালের বেশ্যা। আর মেয়ের জামাইকে বলে, তুই যদি এই মুহূর্তে এই মহিলারে বের না করস, তাহলে তোর বাপের জানাজা হবে না। তখনই আমার মেয়েসহ আমাকে বের করে দেয়।

“২০০৬ সালে ওরে তালাক দিছে, তিনটা বাচ্চা। এই তিনটা বাচ্চা আর আমার মেয়ের সব খরচ আমার। কোনো খরচ দেয় না।”

ফাতেমা আলী জানান, তিন নাতি-নাতনির দুই জন পড়াশুনা করছে, আরেকজন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ক্যান্টিনে বাবুর্চি হিসেবে কাজ করছে।

২০১৭ সাল থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন ফাতেমা। তবে ভাতা পাওয়ার পর হাসপাতালের আয়ার কাজ হারিয়েছেন।

বর্তমানে ১২ হাজার টাকা ভাতা পান জানিয়ে তিনি বলেন, “এটা দিয়া ঘর ভাড়া, খাওয়া-দাওয়া, চিকিৎসা, পাঁচটা মানুষের চলা তো সম্ভব না। খুব কষ্টে দিন কাটাই। তাই এখন বাসার সামনে কাপড় বেচি, আমার মেয়ে কাপড় নিয়ে আসে। আর ধানমণ্ডিতে একটা বাসায় রোগীর দেখাশুনা করি। আমার একটা ছেলে ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার শিকার হইছিল। আমরা ওই মিটিংয়ে গেছিলাম। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছে। এরপরও আমি হাল ছাড়ি নাই।”

সরকার দেশজুড়ে ভূমিহীন-ঘরহীনদের ঘর প্রদানের যে উদ্যোগ নিয়েছে, শেখ ফাতেমা আলী চান নারী মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যও এ ধরণের ঘরের বরাদ্দ করা হোক।

“যদি প্রধানমন্ত্রী আমাদের মাথা গোঁজার একটা জায়গা করে দিত, তাহলে ওই ঘরে শান্তিতে মরতে পারতাম। শেষ জীবনে আর কোনো আফসোস থাকত না। জীবনে আর কোন চাওয়া-পাওয়া থাকব না।”

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888