শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন

ইতালির লাৎসিও অঞ্চলে বাংলাদেশিদের ঢালাও পরীক্ষার উদ্যোগ

বিডিনিউজ: করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ায় ইতালির কেন্দ্রীয় অঞ্চল লাৎসিওর বাংলাদেশি অভিবাসীদের ঢালাও পরীক্ষা করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ইতালির রাজধানী রোমও এই অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত, প্রাচীন এই শহর লাৎসিও অঞ্চলেরও রাজধানী।

ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইতালিতে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর থেকে লাৎসিও অঞ্চলে এ যাবৎ আট হাজার ব্যক্তির দেহে এই ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, যা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত লোমবারদিসহ উত্তরাঞ্চলীয় অন্যান্য এলাকার চেয়ে অনেক কম।

তবে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ‘ক্লাস্টার’ সংক্রমণের ঘটনা কর্তৃপক্ষের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, গত কয়েক দিনে নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদের মধ্যে সর্বশেষ শুক্রবার একজনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, যিনি মাত্রই দেশ থেকে ফিরেছেন।

লাৎসিও’র স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান আলেসসিও দি আমাতো বলেছেন, আগামী সোমবার থেকে শুধু বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য একটি পরীক্ষা কেন্দ্র চালু করা হবে।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের বড় সংখ্যায় সেখানে গিয়ে পরীক্ষা করানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পরীক্ষার জন্য কোনো অর্থ দেওয়া লাগবে না বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ইতালির জাতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট আইএসটিএটি-এর তথ্য মতে, ইউরোপের দেশটিতে বসবাসকারী এক লাখ ৪০ হাজার বাংলাদেশির মধ্যে লাৎসিও অঞ্চলে থাকেন ৩৭ হাজারের মতো। তাদের মধ্যে প্রায় ৩২ হাজারই থাকেন রাজধানী রোমে।

এক বিবৃতিতে লাৎসিও’র স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান বলেন, “বাংলাদেশ থেকে যারা ফিরবেন তাদের জন্য কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হবে। আমরা এয়ারপোর্ট কোম্পানি ও চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণ জোরদার করতে বলেছি।”

ফেব্রুয়ারিতে যখন ইতালিতে ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে সে সময় বাংলাদেশে এই রোগ পৌঁছায়নি। ওই সময় ইতালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে দলে দলে প্রবাসীরা ফিরতে শুরু করে।

এক ভোরে ইতালি থেকে ফেরা কয়েকশ’ প্রবাসীকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য বিমানবন্দর সংলগ্ন আশকোনা হজক্যাম্পে নেওয়ার পরও তাদের বিক্ষোভের মুখে ছেড়ে দেয় সরকার। ওই প্রবাসীদের বাসায় ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়।

এর কিছু দিন পরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দিতে শুরু করে। পরে ইতালি অতি সংক্রামক এই রোগের বিস্তারে  লাগাম পরাতে পারলেও ধুঁকছে বাংলাদেশ।

গত প্রায় মাসখানেক ধরে বাংলাদেশে প্রতিদিন তিন হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এরইমধ্যে সরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছে গেছে দুই হাজারের কাছাকাছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888